📚 ঈশ্বরীয় গ্রন্থ বেদ📚

📚 ঈশ্বরীয় গ্রন্থ বেদ📚

বেদ স্বয়ং সম্পূর্ণ। বেদ ঈশ্বরীয় বাণী, বেদ অপৌরুষেয় গ্রপ্ত, মনুষ্য সৃষ্টির সঙ্গেহ—অগ্নি, বায়ু, আদিত্য ও অঙ্গিরা, এই চার পরম পবিত্র ঋষিদের আত্মায় "বেদবাণী" প্রকাশ লাভ করে। বেদে জ্ঞান কাণ্ড, কর্ম কাণ্ড, উপাসনা কাণ্ড এবং বিজ্ঞান কাণ্ড, এই চারটি বিষয়। বেদ ঈশ্বরীয় জ্ঞান হওয়াতে সব সত্য বিদ্যার ভাণ্ডার। সৃষ্টিক্রমানুসারে প্রমাণিত ঈশ্বরের জ্ঞান সম্পূর্ণ, এ জন্য বেদে সমস্ত সত্যবিদ্যা বীজস্বরূপ। চতুর্বেদে মোট ২০,৩৭৯টি মন্ত্র আছে। সঙ্গীত, গণিত, আয়ুর্বেদ, চিকিৎসা- বিদ্যা, বিমানাদি বিদ্যা, নৌবিদ্যা, তার বেতার বিদ্যা, অগ্নি, জল, বায়ু, সূর্য থেকে শক্তি প্রাপ্তি বিদ্যা, এরূপ অনেক প্রকার সত্য বিদ্যার উল্লেখ আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় ঈশ্বরীয় পুস্তক বলে প্রচারিত বাইবেল, কোরানাদিতে উপর লিখিত বিদ্যার অভাব পরিলক্ষিত হয়। তা হলে বাইবেল বড় এবং কোরানের আল্লাহ্ বা খোদার জ্ঞান কী অপূর্ণ?

বেদ জ্ঞান লাভ করে আর্যরা সারা বিশ্বে প্রায় ১৭৫ কোটি বর্ষ চক্রবর্তী সার্বভৌম রাজত্ব করেছিলেন। তার অবশেষ চিহ্ন এখনও বিদ্যমান। আর্যরা সারা বিশ্বকে ৭ দিন, ১২ রাশি, ১২ মাস ইত্যাদি প্রদান করেছে। সেই সঙ্গে গোরক্ষা, পশুপালন, কৃষিকার্য, সূতা তৈরী করা ইত্যাদি শিক্ষা দিয়েছে। হোম যজ্ঞ, আত্মা (জীব), কর্ম, যোগ, প্রাণায়াম, সঙ্গীত, প্রকৃতি বিষয়, শরীর চর্চা, পরা-অপরা বিদ্যা, বিজ্ঞান বিদ্যা, বেদ শাস্ত্র হতে গ্রহণ করা হয়েছে। সংখ্যা ১ হতে ৯ পর্যন্ত অঙ্ক, ত্রিকোণ, গোলাকার, বক্ররেখা, আয়তাকারের ক্ষেত্রফল বের করার বিদ্যা, বীজ গণিত, রেখা গণিত, অঙ্কশাস্ত্র ইত্যাদি বেদ শাস্ত্র হতে প্রাপ্ত হয়েছে। মুক্তি বা মোক্ষ প্রাপ্তির জন্য, সুখময় দীর্ঘ জীবন প্রাপ্তি শিক্ষা সবই বেদে বিদ্যমান। সারা বিশ্বে বৈদিক সংস্কৃতিই এক মাত্র প্রাচীন সংস্কৃতি। উল্লেখ আছে— “সা প্রথমা সংস্কৃতি বিশ্ববারাঃ”। বৈদিক ধর্মই শাশ্বত ধর্ম, কারণ এটি বিজ্ঞান অধিষ্ঠিত বিজ্ঞানবাদী (Scientific) যুক্তিবাদী (Logi cal), বুদ্ধিবাদী (Rationalist)। এই জন্যই মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী পুনরায় বেদের পথে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা সর্বহিতকারী। বেদ নির্দেশিত পথে এক মাত্র সংগঠন আর্য সমাজে সম্মিলিত হয়ে জীবনকে উন্নতির পথে নিয়ে চলুন। ওম্ শম্।।

প্রচারে:  অমৃতস্য পুত্রাঃ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

নবীনতর পূর্বতন