পুরাণ বিমর্শ - প্রথম পর্ব

 পুরাণ বিমর্শ-প্রথম পর্ব

নমস্তে! আমাদের সনাতন ধর্মের মূল হলো বেদ তথা সনাতন শাস্ত্র হলো বেদশাস্ত্র । এই বেদ হইতে উৎকৃষ্ট অন্য কোন শাস্ত্র নাই, যা অপৌরুষেয় এবং আমাদের উত্তম নেত্রস্বরূপ অর্থাৎ সঠিক মার্গ প্রদর্শক। মহর্ষি ব্রহ্মাও বলেছেন যে- "বেদা মে পরমং চক্ষুর্বেদা"। কিন্তু আমাদের বর্তমান সনাতনী সমাজ  বেদচক্ষু ত্যাগ করে অন্ধ হয়ে গেছে। যার যেভাবে ইচ্ছা অন্ধকে সঠিক কিংবা ভুল পথে নিয়ে যেতে পারে, যদি সেই অন্ধ ব্যক্তি পথচারী হয় এবং সাহায্যপ্রার্থী হয়। আমাদের সনাতনী সমাজও তো কোন এক (স্বর্গ, বৈকুণ্ঠধাম...) লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথে অবস্থান করছে, কিন্তু কিভাবে যাবে একে তো রাহা না জানে, তারউপর দৃষ্টিহীন, তাই সাহায্যপ্রার্থী তো অবশ্যই, এজন্য যার যেভাবে ইচ্ছা সেই পথেই নিয়ে যাচ্ছে তাদের (তথাকথিত গুরুরা)। তাদের মূল স্তম্ভ পুরাণ। আমাদের এই লিখনীর মুল বিষয় সেই পুরাণকে ঘিরেই। আমরা কেন পুরাণ মানিনা এই প্রশ্নের সম্মুখীন প্রায় সকল আর্যসমাজী কিংবা আর্য সমাজের অনুসারীরা হয়। পুরাণ না মানার ক্ষেত্রে বহুকারণ রয়েছে। যেমন - পুরাণে বেদ ও বৈদিক শাস্ত্র বিরুদ্ধ অনেককিছুই আছে, পুরাণে অযৌক্তিক অনেক কিছুই আছে, অশ্লীলতা আছে ইত্যাদি ইত্যাদি। ক্রমান্বয়ে তা কিছুমাত্র উদ্ধৃত করবো তথ্যপ্রমাণ সহ। যে ধর্ম সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তার জন্য পরম প্রমাণ বেদ তদুপরান্ত পরোক্ষ প্রমাণ স্মৃতিশাস্ত্রাদি। সেই বেদ শাস্ত্রের প্রতিকূল যা আছে তা ত্যাজ্য তারপর যা বৈদিক শাস্ত্রের বিরুদ্ধ তাও ত্যাজ্য।

প্রমাণ সংগ্রহ– 
১.বেদোऽখিলো ধর্মমূলম্- মনু০-২/৬
২.বেদশাস্ত্রং সনাতনম্ -মনু০১২/৯৯
৩.নাস্তি বেদাৎ পরং শাস্ত্রং -অত্রিস্মৃতি- ১৪৯
৪.“ন পৌরুষেয়ত্বং তত্কর্তুঃ পুরুষস্যাভাবাত্।” সাংখ্য০-৫/৪৬
৫."..মনুষ্যাণাং বেদশ্চক্ষুঃ সনাতনম্" মনু০-১২/৯৪
৬."ধর্ম্মং জিজ্ঞাসমানানাং প্রমাণং পরমং শ্রুতিঃ" মনু০-২/১৩
৭."বেদোক্তঃ পরমো ধর্মঃ স্মৃতিশাস্ত্রগতোহপরঃ" মহা০ অনু০ ১৪১/৬৫
৮.উৎপদ্যন্তে চ্যবন্তে চ যান্যতোহন্যানি কানিচিৎ।
  তান্যর্বাক্কালিকত্যা নিষ্ফলান্যনৃতানি চ।। (মনু০- ১২/৯৬)

🖋️প্রিয়রত্ন বিদ্যার্থী
©️অমৃতস্য পুত্রাঃ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

নবীনতর পূর্বতন