সনাতন ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে পশু পালন ও রক্ষণাবেক্ষণ |
» এগুলো আমরা ধর্মীয় শাস্ত্রের আলোকে দেখে নেবো। যারা পশুপাখি পালনের ব্যাপারে আগ্রহী তাদের স্পষ্টভাবে জানা উচিত যে সনাতন ধর্মে পশুপাখিকে খাদ্য প্রদান , তাদের রক্ষণাবেক্ষণ , পালনে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে অথবা অনুমতি প্রদান কর হয়েছে ।
» এখন আমরা দেখে নেবো পশু পালন ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে আমাদের ধর্মীয় শাস্ত্র কি বলে—
সরলার্থঃ হে মানবজন্মধারী ! তুমি এই দ্বিপাদ পশু-পাখীদের এবং পবিত্রকারক ফলপ্রদ বন্য ও গবাদি পশুদের ক্ষতি করো না । সেই পশুদের সেবা কর ।
সরলার্থঃ হে পুরুষ ও স্ত্রীলোক ! তোমরা দুই পাযুক্ত ও চার পা যুক্ত প্রাণিদের রক্ষা করো ।
পশূনাং পতয়ে নমঃ
[যজুর্বেদ ১৬।১৭]
সরলার্থঃ হে শত্রুনাশক সেনাধীশ! গাভি ইত্যাদি পশুদের রক্ষক তোমার জন্য সৎকার প্রাপ্ত হউক।
মা যজমানস্য পশূন্পাহি॥
[যজুর্বেদ ১।১]
সরলার্থঃ আপনি পরমেশ্বর ও সর্বোপ্রকার ধর্মের আচরণকারী মনুষ্যের এই গাভি , অশ্ব ও হস্তী ইত্যাদি পশু তথা লক্ষ্মী ও প্রজার সবসময় রক্ষা করুন ।
বায়সানাং কৃমীণাং চ শনকৈর্নির্বপেদ্ ভুবি॥
[মনুস্মৃতি ৩।৯২]
সরলার্থঃ- প্রতিদিন ভোজন প্রস্তুত হওয়ার পর কুকুর প্রভৃতি পশুদের , কাকপ্রভৃতি পাখীদের অথবা কীট-পতঙ্গদের জন্য সাবধানতার সাথে কোন পাত্রে খাদ্যবস্তুর নির্দিষ্ট অংশ তাদের জন্য ভূমিতে রেখে দেবে এবং এগুলো আসার সাথে সাথে তাদের দিয়ে দেবে ।
নমঃ শ্বভ্যঃ শ্বপতিভ্যশ্চ বো নমো॥
(যজুর্বেদ ১৬।২৮)
সরলার্থঃ- হে মনুষ্য ! যেভাবে আমরা পরীক্ষকগণ , কুকুরকে এবং কুকুর পালনকারীকে অন্ন দেই তথা সৎকার করি সেভাবে তোমরাও করো ।
পশূংস্ত্রায়েথাং
[ যজুর্বেদ ৬/১১ ]
ভাবার্থঃ পশুসমূহকে (পাখি) লালন-পালন করো ।
🖋️কলমে:- বিশাল আর্য।
©আর্য প্রতিনিধি সভা বাংলাদেশ।