প্রচলিত অষ্টাদশ পুরাণ কতটুকু মান্য ২য় পর্ব

 

প্রচলিত অষ্টাদশ পুরাণ কতটুকু মান্য ২য় পর্ব

পর্বঃ২

১ম পর্বে আমরা জানার চেষ্টা করেছিলাম প্রচলিত অষ্টাদশ পুরাণের রচয়িতা কি আদৌ একজন ছিলেন এবং ব্যাসদেবই কি পুরাণের রচয়িতা ছিলেন?

আশা করি আমরা বুঝতে পেরেছি ব্যাসদেব প্রচলিত অষ্টাদশ পুরাণের রচয়িতা নন।

আজকে জানার চেষ্টা করবো —

(১)প্রচলিত অষ্টাদশ পুরাণ আসলে কয়টি?
(২)প্রচলিত অষ্টাদশ পুরাণের শ্লোকসংখ্যা নিয়ে সংশয়।
(৩)প্রচলিত অষ্টাদশ পুরাণের রচনাকাল।
শুরু করা যাক!
অষ্টাদশ পুরাণানি কৃত্বা সত্যবতীপুতঃ।
ভারতাখ্যানমখিলং চক্রে তহুপবৃংহিতম্।
মৎস্যপুরাণ(৫৩/৬৯)

অনুবাদঃসত্যবতী-নন্দন বেদব্যাস অষ্টাদশ পুরাণ প্রণয়ন করিয়া তন্থপরংহিত মহাভারত প্রণয়ন করেন।

একই পুরাণের অন্য একটি শ্লোকে বলা হয়েছে—

ব্যাসরূপমং কৃত্বা সংহরামি যুগে যুগে ।
চতুর্লক্ষপ্রমীণেন দ্বাপরে দ্বাপরে সদা।। ৯
মৎস্যপুরাণ,অধ্যায়ঃ৫৩

অনুবাদঃআমি ব্যাসরূপ ধারণ করিয়া যুগে যুগে তাহা পরিবর্তন করিয়া থাকি প্রতি দ্বাপরে চতুর্লক্ষ শ্লোক-সম্বলিত পুরাণ অষ্টাদশভাগে বিভক্ত করিয়া এই ভূলোকে আমি প্রকাশ করি।

একই কথা গরুড় পুরাণও বলছে।

চলুন দেখি কি বলে—

অনুবাদঃএই সময়ে ব্যাস-রূপধারী, বিষ্ণু এক বেদকে চতুর্দ্ধা বিভক্ত করিয়া অষ্টাদশ পুরাণ ও অষ্টাদশবিদ্যা প্রণয়ন করেন।

গরুড় পুরাণ(৮৭/৬০)

লিঙ্গপুরাণও একই কথা বলছে-

অনুবাদঃব্রহ্ম, পদ্ম,বিষ্ণু, শিব, ভাগবত, . ভবিষ্য, নারদ্বীয়, মার্কণ্ডেয়,অগ্নি, ব্রহ্মবৈবর্ত্ত, লিঙ্গ, বরাহ, বামন, কুর্ম্ম, মৎস্য,গারুড়, স্কন্দ, ব্রহ্মাণ্ড, এই সকল সেই পুরাণের কথিত আছে ; সেই অষ্টাদশ পুরাণের মধ্যে এই লিঙ্গ-পুরাণ একাদশ।

লিঙ্গপুরাণ,পূর্বভাগ(৩৯/৬১-৬২)

আমরা উপরোক্ত শ্লোকগুলো হতে বুঝতে পারি পুরাণ ১৮ টি।কিন্তু সেই মৎস্যপুরাণই বলছে অন্য কথা।

দেখি সেই শ্লোকটি—

পুরাণং সর্ব্বশাস্ত্রাণাং প্রথমং ব্রহ্মণ। স্মৃতম্ । 
নিত্যং শব্দময়ং পুণ্যং শতকোটি প্রবিস্তরম্ ॥৩
মৎস্যপুরাণ(৩/৩)

অনুবাদঃযত কিছু শাস্ত্র আছে, তন্মধ্যে পুরাণই সৰ্ব্ব প্রথমরূপে ব্ৰহ্মা কর্তৃক স্মৃত হইয়াছে। এই পুরাণ শাস্ত্ৰ নিত্য পবিত্র এবং শব্দময়। ইহার সংখ্যা শতকোটি।

একই পুরাণের কোন তথ্যটি সঠিক।১৮ টি নাকি শতকোটি?

এবার দেখা যাক পুরাণের শ্লোকসংখ্যা!

ব্যাসরূপমং কৃত্বা সংহরামি যুগে যুগে ।
চতুর্লক্ষপ্রমীণেন দ্বাপরে দ্বাপরে সদা।। ৯
মৎস্যপুরাণ,অধ্যায়ঃ৫৩

অনুবাদঃআমি ব্যাসরূপ ধারণ করিয়া যুগে যুগে তাহা পরিবর্তন করিয়া থাকি প্রতি দ্বাপরে চতুর্লক্ষ শ্লোক-সম্বলিত পুরাণ অষ্টাদশভাগে বিভক্ত করিয়া এই ভূলোকে আমি প্রকাশ করি।

পদ্মপুরাণও একই কথা বলছে—

53. Even now in the worlds of gods its expanse is a hund red crores (of verses); the same is put here in an abridged form in four lakhs (verses).

পদ্মপুরাণ,সৃষ্টিখণ্ড,(১/৫৩)

উপরোক্ত শ্লোকগুলো হতে পাওয়া তথ্য অনুসারে অষ্টাদশ পুরাণের শ্লোকসংখ্যা ৪ লক্ষ।

এবার পুরাণের হিসাবটা একটু দেখি!

ব্রাহ্মং দশ সহস্রাণি পাদ্মং পঞ্চোনষষ্টি চ ।
শ্রীবৈষ্ণবং ত্রয়োবিংশচ্চতুর্বিংশতি শৈবকম্ ॥ ৪ ॥
দশাষ্টেী শ্রীভাগবতং নারদং পঞ্চবিংশতিঃ ।
মার্কগুং নব বাহ্নং চ দশপঞ্চ চতুঃশতম্ ॥ ৫ ॥
চতুর্দশ ভবিষ্যং স্যাৎ তথা পঞ্চশতানি চ ।
দশাষ্টেী ব্ৰহ্মবৈবর্তং লৈঙ্গমেকাদশৈব তু ॥ ৬ ॥
চতুর্বিংশতি বারাহমেকাশীতিসহস্ৰকম্ ।
স্কান্দং শতং তথা চৈকং বামনং দশ কীৰ্তিতম্ ॥ ৭ ॥
কৌর্মং সপ্তদশাখ্যাতং মাৎস্যং তত্ত্ব চতুৰ্দশ ।
একোনবিংশৎ সৌপর্ণং ব্রহ্মাণ্ডং দ্বাদশৈব তু ॥ ৮ ৷৷
এবং পুরাণসন্দোহশ্চতুর্লক্ষ উদাহৃতঃ ৷
তত্ৰাষ্টদশসাহস্ৰং শ্রীভাগবতমিষ্যতে ॥৯॥
শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ(১২/১৩/৪-৯)

অনুবাদঃব্রহ্মাপুরাণে দশ হাজার শ্লোক রয়েছে, পদ্মপুরাণে পঞ্চান্ন হাজার, শ্রীবিষ্ণু পুরাণে তেইশ হাজার; শিব পুরাণে চব্বিশ হাজার এবং শ্রীমদ্ভাগবতে আঠারো হাজার শ্লোক রয়েছে। নারদ পুরাণে পঁচিশ হাজার, মার্কণ্ডেয় পুরাণে নয় হাজার,অগ্নিপুরাণে পনেরো হাজার চার শত, ভবিষ্যপুরাণে চৌদ্দ হাজার পাঁচ শত,ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে আঠারো হাজার এবং লিঙ্গ পুরাণে এগারো হাজার শ্লোক রয়েছে। বরাহ পুরাণে চব্বিশ হাজার, স্কন্দ পুরাণে একাশি হাজার একশত, বামন পুরাণে দশ হাজার, কুর্মপুরাণে সতেরো হাজার, মৎস্য পুরাণে চৌদ্দ হাজার; গরুড় পুরাণে উনিশ হাজার এবং ব্রহ্মাণ্ড পুরাণে বারো হাজার শ্লোক রয়েছে। এইরূপে সমগ্র পুরাণে সর্ব মোট চার লক্ষ শ্লোক রয়েছে। পুনরায় উল্লেখ করছি,শ্রীমদ্ভাগবত গ্রন্থে আঠারো হাজার শ্লোক রয়েছে।

হিসাবঃ

(১)ব্রহ্মপুরাণ=১০,০০০

(২)পদ্মপুরাণ=৫৫,০০০

(৩)বিষ্ণুপুরাণ=২৩,০০০

(৪)শিবপুরাণ=২৪,০০০

(৫)শ্রীমদ্ভাগবতপুরাণ=১৮,৫০০

(৬)নারদপুরাণ=২৫,০০০

(৭)মার্কেণ্ডেয়পুরাণ=৯,০০০

(৮)অগ্নিপুরাণ=১৫,০০০

(৯)ভবিষ্যপুরাণ=১৪,৫০০

(১০)ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ=১৮,০০০

(১১)লিঙ্গপুরাণ=১১,০০০

(১২)বরাহপুরাণ=২৪,০০০

(১৩)স্কন্দপুরাণ=৮১,১০০

(১৪)বামনপুরাণ=১০,০০০

(১৫)কুর্মপুরাণ=১৭,০০০

(১৬)মৎস্যপুরাণ=১৪,০০০

(১৭)গরুড়পুরাণ=১৯,০০০

(১৮)ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ=১২,০০০

সর্বমোট=৪০০,১০০।
শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণের শ্লোক অনুসারে হয় ৪০০,১০০। 
তার মানে ১০০ টা শ্লোক বেশি।
আবার দেবী ভাগবত পুরাণ অনুসারে দেখা যাক,

In the Matsya Purâna there are fourteen thousand slokas; in the wonderfully varied Markandeya Purânam there are nine thousand slokas. In the Bhavisya Purâna fourteen thousand and five hundred slokas are counted by the Munis, the seers of truth. In the holy Bhagavata there are eighteen thousand S'lokas; in the Brahmâ Purâna there are Ajuta (ten thousand) S'lokas. In the Brahmânda Purâna there are twelve thousand one hundred S'lokas; in the Brahmâ Vaivarta Purânam there are eighteen thousand S'lokas. In the Vaman Purâna there are Ajuta (ten thousand) S'lokas; in the Vayu Purânam there are twenty-four thousand and six hundred S'lokas;In the baraha puranas there are twenty four thousand S'lokas.the greatly wonderful Visnu Purâna there are twenty-three thousand S'lokas; in the Agni Purânam there are sixteen thousand S'lokas; in the Brihat Narada Purânam, there are twenty-five thousand S'lokas, in the big Padma Purâna there are fifty-five thousand s'lokas; in the voluminous Linga Purâna eleven thousand s'lokas exist; in the Garuda Purânam spoken by Hari nineteen thousand s'lokas exist; iu the Kurma Purâna, seventeen thousand s'lokas exist and in the greatly wonderful Skanda Purâna there are eighty-one thousand s'lokas, O sinless Risis!

দেবীভাগবত পুরাণ(১/৩/১-১১)

হিসাবঃ

(১)মৎস্যপুরাণ=১৪,০০০

(২)মার্কেণ্ডেয়=৯,০০০

(৩)ভবিষ্য=১৪,৫০০

(৪)ভাগবত=১৮,০০০

(৫)ব্রহ্মপুরাণ=১০,০০০

(৬)ব্রহ্মাণ্ড=১২,১০০

(৭)ব্রহ্মবৈবর্ত=১৮,০০০

(৮)বামন=১০,০০০

(৯)বায়ু=২৪,৬০০

(১০)বিষ্ণু=২৩,০০০

(১১)বরাহ=২৪,০০০

(১২)অগ্নি=১৬,০০০

(১৩)নারদ=২৫,০০০

(১৪)পদ্ম=৫৫,০০০

(১৫)লিঙ্গপুরাণ=১১,০০০

(১৬)গরুড়=১৯,০০০

(১৭)কুর্ম্ম=১৭,০০০

(১৮)স্কন্দ=৮১,০০০

দেবী ভাগবতের উপরোক্ত শ্লোকটিতে উল্লেখিত ক্রম অনুসারে হয় ৪০১,২০০ শ্লোক।এখানেও ১২০০ শ্লোক বেশী।

উপরের প্রমাণ অনুসারে বুঝা যায় যে প্রচলিত অষ্টাদশ পুরাণের রচয়িতা হিসাবে দক্ষ ছিলেন না।

পুরাণের রচনাকালঃ

মৎস্যপুরাণের হিসাব অনুসারে সমস্ত শাস্ত্রের মধ্যে পুরাণই প্রথম শাস্ত্র এবং এর থেকেই বেদের সৃষ্টি।

কি অবাক হচ্ছেন?

চলুন দেখে আসি পুরাণ কি বলে—

পুরাণং সর্বশাস্ত্রাণাং প্রথম ব্ৰহ্মণা স্মৃতম্ ।
অনন্তরঞ্চ বক্তেভ্যো বেদান্তন্য বিনিৰ্গতাঃ ॥
মৎস্যপুরাণ(৫৩/৩)

অনুবাদঃসমস্ত শাস্ত্রের মধ্যে পুরাণই প্রথম বলিয়া ব্রহ্মা কর্তৃক স্মৃত হইয়াছে। অনন্তর তাঁহার বজ্রবৃন্দ হইতে বেদ সকল নির্গত হয়।

মৎস্যপুরাণ আরও বলছেন—

পুরাণং সর্ব্বশাস্ত্রাণাং প্রথমং ব্রহ্মণ। স্মৃতম্ । 
নিত্যং শব্দময়ং পুণ্যং শতকোটি প্রবিস্তরম্ ॥৩
মৎস্যপুরাণ(৩/৩)

অনুবাদঃযত কিছু শাস্ত্র আছে, তন্মধ্যে পুরাণই সৰ্ব্ব প্রথমরূপে ব্ৰহ্মা কর্তৃক স্মৃত হইয়াছে। এই পুরাণ শাস্ত্ৰ নিত্য পবিত্র এবং শব্দময়। ইহার সংখ্যা শতকোটি।

বায়ুপুরাণও একই কথা বলছে—

অন্নাদানাং তনুনাঞ্চ সৃজনং ত্যজনং তথা।
প্রথমং সর্ব্বশাস্ত্রাণাং পুরাণং ব্রহ্মণা স্মৃতম্।। ৬০
অনন্তরঞ্চ বজ্রে ভ্যো বেদান্তস্য বিনিঃসৃতাঃ।
অঙ্গানি ধৰ্ম্মশাস্ত্রঞ্চ ব্ৰতানি নিয়মাস্তথা।। ৬১
বায়ুপুরাণ(১/৬০-৬১)

অনুবাদঃসমস্ত শাস্ত্র মধ্যে ব্রহ্মা কর্তৃক অগ্রে পুরাণ-বেদন,অনন্তর তদায় বজ্রসমূহ হইতে সাঙ্গ বেদচতুষ্টয়, ধর্মশাস্ত্র ও অন্যান্য ব্রত নিয়মাদির আবির্ভাব।

পুরাণের কথা অনুসারে বুঝা যায় যে,পুরাণ বেদেরও পূর্বে সৃষ্টি।

এটা কি আদৌও সম্ভব?

এমন গাঁজাখুরি কথা কি ব্যাসদেব লিখতে পারে?যদি এই(পুরাণের) বাক্যগুলো সত্য হয় তাহলে ব্যাস সংহিতার কথাগুলো মিথ্যা হবে।মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ ব্যাস সংহিতায় লিখেছেন—

শ্রুতিস্মৃতিপুরাণানাং বিরোধো যত্র দৃশ্যতে।
তত্র শ্রৌত প্ৰমাণন্ত তয়োঘৈঁধে স্মৃতিব্বরা ॥ 
ব্যাসসংহিতা(১/৪)

অনুবাদঃযেখানে শ্রুতি, স্মৃতি ও পুরাণের বিরোধ দেখা যায়, সেখানে শ্রুতিকথিত বিধিই বলবান্ এবং যেস্থলে স্মৃতি ও পুরাণের বিরোধ দেখা যায়, সেস্থলে স্মৃতিকথিত বিধিই বল বান্। 

একই ব্যক্তির লেখায় স্ববিরোধ চলে আসছে।ব্যাস সংহিতা অনুসারে শ্রুতি,স্মৃতি এবং পুরাণের মধ্যে শ্রুতির বিধিই বলবান।

পুরাণের রচনা কাল নিয়ে বঙ্কিমচন্দ্রের মতামতঃ

ব্রহ্মপুরাণের রচনাকাল—খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ এবং চতুর্দশ শতাব্দী।

পদ্মপুরাণের রচনাকাল—খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ থেকে ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যে।

বিষ্ণুপুরাণের রচনাকাল—খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দী।

শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণের রচনাকাল—খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দী।

মার্কণ্ডেয় পুরাণের রচনাকাল—খ্রিস্টীয় নবম এবং দশম শতাব্দীর মধ্যে।

লিঙ্গপুরাণের রচনাকাল—খ্রিস্টীয় অষ্টম এবং নবম শতাব্দীর মধ্যে।

গরুড় পুরাণের রচনাকাল—পদ্মপুরাণের পরেই রচিত।

তথ্যসূত্রঃকৃষ্ণচরিত্র

১ম এবং ২য় পর্বে উল্লেখিত পুরাণের শ্লোক অনুসারে পুরাণের রচয়িতা কে সেটি নিশ্চিত নয়।তবুও কিছু ব্যক্তিরা ব্যাসদেব রচিত বলে প্রচার করে।প্রচলিত অষ্টাদশ পুরাণের নাম,শ্লোসংখ্যা এবং রচনাকাল নিয়ে সংশয় তৈরী হয়।উপরোক্ত প্রমাণাদি হতে এটা বলা যেতে পারে যে বর্তমানে প্রচলিত অষ্টাদশ পুরাণ সনাতন ধর্মের শাস্ত্র হতে পারে না।

বি.দ্রঃকোন প্রকার ভূল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

কলমেঃঅরূপ আর্য।

আর্য প্রতিনিধি সভা বাংলাদেশ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

নবীনতর পূর্বতন