![]() |
"সত্যার্থ প্রকাশ" নিয়ে মূর্খের আক্ষেপ নিবারণ! |
১ম পর্ব |
কিছু নাকে দড়ি বাঁধা উটের আক্ষেপ নিবারণ।
সর্ব বিজ্ঞানময় কিতাবের অনুসারীরা "সত্যার্থ প্রকাশ" এর উপর কিছু আক্ষেপ এনেছেন নিম্নে সেগুলোর কিছু অংশ খণ্ডন করা হল।"সত্যার্থ প্রকাশ" সর্ব বিজ্ঞানময় কিতাবধারীদের মনে আতঙ্ক তৈরী করে,তাই তারা এই গ্রন্থটিকে সর্ব বিজ্ঞানময় কিতাবের কাল্পনিক আজরাইল এর মতই ভয় পাই।যাই হোক আমি এটাই বলবো যে,"ইয়ে ডর হ্যামে আচ্ছা লাগা"!
মূল বিষয়ে যাওয়া যাক!
১ নং আক্ষেপঃ"সত্যার্থ প্রকাশ" এর অষ্টম সমুল্লাসে সূর্য,চন্দ্র এবং অন্যান্য নক্ষত্রদির মধ্যে মনুষ্য প্রজার অবস্থান করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে,এটা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক।
১নং অক্ষেপ নিবারণঃ
সত্যার্থ প্রকাশ,অষ্টম সমুল্লাসে উল্লেখিত অংশটিই আগে দেখে নেয়া যাক।
প্রশ্ন—সূর্য্য, চন্দ্র এবং তারা ইহারা কি বস্তু এবং উহাতে মনুষ্যাদির সৃষ্টি আছে অথবা নাই ?
উত্তর—এ সব ভূগোল লোক এবং ইহাতে মনুষ্যাদি প্রজাও অবস্থান করে। কারণ :-
এতেষু হী সর্ব বসুহিত মেতে হী সর্ব বাসয়ন্তে, তদ্যদিদ সর্ব বাসয়ন্তে তস্মাদ্বসব ইতি ॥ শতঃ । কাঃ ১৪। প্রঃ ৬। ব্রাং ৯। কঃ ৪ ॥
পৃথিবী, জল, অগ্নি, বায়ু, আকাশ, চন্দ্র, নক্ষত্র এবং সূর্য্য ইহাদিগের নাম বসু ; কারণ
ইহাতে সকল পদার্থ আছে এবং প্রজা বাস করে। ইহারা বাস করায় বলিয়া এবং নিবাসের উপযোগী
গৃহতুল্য হওয়াতে ইহাদিগের নাম বসু হইয়াছে। যখন সূর্য্য, চন্দ্র এবং নক্ষত্রও পৃথিবীর তুল্য
বসু, তখন উহাতে যে এইরূপ প্রজ৷ আছে তদ্বিষয়ে সন্দেহ কি ? অধিকন্তু যখন পরমেশ্বরের এই
ক্ষুদ্র লোকও মনুষ্যাদি হৃষ্টিতে পরিপূর্ণ, তখন এই সকল লোক কি শূন্য হইতে পারে ? পরমেশ্বরের
কোন কাৰ্য্যই নিষ্প্রয়োজন হয় না। তবে এই সকল অসংখ্য লোকে মনুষ্যাদি সৃষ্টি না থাকিলে,ইহারা কি সফল হইতে পারে ? সুতরাং সর্ব্বত্রই মনুষ্যাদির সৃষ্টি আছে।
প্রশ্ন— এই দেশে মনুষ্যাদি সৃষ্টির আকৃতি এবং অবয়ব যেরূপ, অন্য জগতেও কি তদ্রূপ হইবে অথবা তাহার বিপরীত হইবে ?
উত্তর—কোন কোন আকৃতি বিষয়ে ভেদ হইবার সম্ভাবনা আছে। যেমন এদেশ হইতে চীনে,আফ্রিকায়, আর্য্যাবর্ত্ত ও ইউরোপে অবয়ব, বর্ণ, রূপ ও আকৃতি সম্বন্ধে কিছু কিছু ভেদ হইয়া থাকে। এইরূপ লোক লোকান্তরেও পার্থক্য হয় পরন্তু এদেশে যে জাতির যেরূপ সৃষ্টি আছে অন্য লোকেও উক্ত জাতির তদ্রূপ সৃষ্টি আছে। এদেশে শরীরের যে যে প্রদেশে নেত্রাদি অঙ্গ সন্নিবেশিত আছে, লেকান্তরেও উক্ত জাতির অবয়ব তদ্রূপই আছে কারণ :-
দিবং চ পৃথিবীং চান্তরীক্ষমথো স্বঃ॥
ঋঃ। মঃ ১০। সূঃ ১৯০ ॥
(ধাতা ) পরমাত্মা পূর্ধ্ব কল্পে যেরূপ সূর্য্য, চন্দ্র, দ্যৌ, ভূমি, অন্তরীক্ষ এবং সেখানের সুখ বিশেষ পদার্থ রচনা করিয়াছেন, এই কল্পেও অর্থাৎ এই সৃষ্টিতেও তদ্রূপ রচনা করিয়া সমস্তলোক ও লোকান্তর নির্মাণ করিয়াছেন, কিঞ্চিন্মাত্রও ভেদ করেন নাই।
প্রশ্ন—এই লোকে যে বেদের প্রকাশ আছে উক্ত সকল লোকে সেই বেদেরই প্রকাশ আছে অথবা নাই ?
উত্তর— সেই বেদেরই প্রকাশ আছে। যেমন এক রাজার রাজ্যব্যবস্থা এবং নীতি সকল দেশেই সমান হয় তদ্রূপ রাজরাজেশ্বর পরমাত্মার বেদোক্ত নীতি আপনার সৃষ্টিরূপ সকল রাজ্যেই একরূপ আছে।
প্রশ্ন—যখন এই জীব এবং প্রকৃতিস্থ তত্ত্ব অনাদি এবং ঈশ্বর নির্ম্মিত নহে, তখন ইহাদিগের উপর ঈশ্বরের অধিকার হওয়া উচিত নহে; কারণ সকলেই স্বতন্ত্র রহিয়াছে।
উত্তর—যেমন রাজা এবং প্রজা সমকালেই হয় এবং রাজার অধীন প্রজা থাকে তদ্রূপ পরমেশ্বরের অধীন জীব এবং জড়পদার্থ থাকে। যখন পরমেশ্বর সকলের সৃষ্টিকর্ত্তা, জীবদিগের কর্ম্মফলদাত৷ সকলের যথাবৎ রক্ষক এবং অনন্ত সামর্থ্যবিশিষ্ট তখন অল্প সামর্থ্য এবং জড় পদার্থ কেন তাঁহার অধীন হইবে না? এইজন্য কর্ম্মানুষ্ঠান বিষয়ে জীব স্বাধীন কিন্তু ফলভোগ বিষয়ে ঈশ্বরের ব্যবস্থার অধীন। এইরূপে সর্ব্বশক্তিমান্ পরমেশ্বর সমস্ত বিশ্বের সৃষ্টি, সংহার এবং পালন করিয়া থাকেন।অষ্টম সমুল্লাসে উল্লেখিত বাক্যগুলো হতে সেই নাকে দড়ি বাঁধা উটের মনে প্রশ্ন উদয় হল যে সূর্য্য,চন্দ্র এগুলোতে কি মনুষ্য থাকা সম্ভব?যদি সর্ব বিজ্ঞানময় কিতাব পড়ে বিজ্ঞান বুঝতে যায় এই অবস্থায় হয়।
প্রথমে "মনুষ্য" বলতে কি বুঝায় সেটা দেখা যাক।
নিরু০ ৩।৭ ‘মনুষ্যাঃ কস্মাৎ । মত্বা কর্মাণি সীব্যন্তি মনস্যমানেন সৃষ্টাঃ মনস্যতিঃ পুনর্মনস্বীভাবে মনোরপত্যম্ মনুষো বা’ = মনুষ্য কেন বলা হয় ? কেননা (১) চিন্তা করে কাজ করে, বিনা বিচারে না (২) প্রশস্ত মনযুক্ত থেকে যে উৎপন্ন হয়েছে (৩) মননশীলের সন্তান - মনুষ্য হবে ।
তাহলে নিরুক্ত অনুসারে আমরা "মনুষ্য" এর অর্থ জানলাম।
যাদের মনে এই প্রশ্নটি এসেছে তাদের জন্য নিচে নাসার একটি আর্টিকেল দেওয়া হল।আশা করি এটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারবে।
https://www.nasa.gov/topics/universe/features/universe20120911.html
নাসার আর্টিকেল পড়ার জন্য বলবো সর্ব বিজ্ঞানময় কিতাবধারী ব্যক্তিদের।
২নং আক্ষেপঃমহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী মন্ত্র বানিয়ে ফেলেছেন এবং ঋগ্বেদ ১০ মণ্ডলের ০১ নং সুক্তে মন্ত্র আছে ৭ টি।
২নং আক্ষেপ নিবারণঃ
মূর্খের ইহাই সমস্যা,যাহা জানে না সেটা জানিবার চেষ্টাও করে না।কোন বিষয় না জানিয়া থাকিলে তাহা জানিবার প্রচেষ্টা করা উচিত।
সেই উম্মতের দাবী ছিল ঋগ্বেদ ১০ মণ্ডলের ০১ নং সুক্তে নাকি মন্ত্র আছে ৭ টি।তিনি এই রেফারেন্স কোথায় পেলেন?বাংলা সংস্করণে এই মন্ত্রাংশের কোন রেফারেন্স দেওয়া নেই।২য় সংস্করণ(বাংলা),৪র্থ সংস্করণ(বাংলা),মীমাংসক সংস্করণ(হিন্দি) এমনকি ইংরেজী সংস্করণেও নেই।।এই ছবিগুলো নিচে দেওয়া হল—
উপরের ছবিগুলো থেকে স্পষ্ট হয় যে ঐ মন্ত্রাংশে সরাসরি কোন রেফারেন্স দেওয়া নেই।তাহলে এটা কি চালাকি বা তাকিয়াবাজী?যদি চালাকী অথবা মিথ্যাচার না হয় তবে আমরাও দেখতে চাই মূল হার্ড কপি থেকে এবং কততম সংস্করণ সেটাও।
তবে আজমির সংস্করণে ২ টা রেফারেন্স আছে।সেটা দেখা যাক—
ঋগ্বেদ(১০/৩১/৮) এবং অথর্ববেদ(৪/১১/১),এইমন্ত্রাংশটি দুই মন্ত্রের সংযুক্তি।ঋগ্বেদ(১০/৩১/৮) হতে "উক্ষা" এবং অথর্ববেদ(৪/১১/১) হতে "আধার পৃথিবীমূত দ্যাম" নেওয়া হয়েছে।
তাই উম্মতের দাবী সম্পূর্ণ মিথ্যা।মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী কোন মন্ত্র নিজ হইতে তৈরী করেন নি বরং তিনি বুঝানোর জন্য দুইটি মন্ত্র হতে কিছু পদ নিয়ে লিখেছেন।তবে যদি প্রিন্টিং মিস্টেক হয় সেটা অবশ্যই যাচাই বাচাই করে দেখতে হবে।
৩নং আক্ষেপঃমাংসভোজীদের প্রতি স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর বিদ্বেষ!
৩নং আক্ষেপের নিবারণঃ
পবিত্র বেদ সনাতন ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ এবং মূল শাস্ত্র। তাই বেদে যেহেতু প্রাণী হত্যা নিষেধ সেহেতু মাংস ভক্ষণও নিষেধ।গীতায় বলা হয়েছে—
অনুবাদঃশাস্ত্রবিধি পরিত্যাগ করে যে কামাচারে বর্তমান থাকে, সে সিদ্ধি বা সুখ বা পরমগতি লাভ করতে পারে না।অতএব, কর্তব্য ও অকর্তব্য নির্ধারণে শাস্ত্রই একমাত্র প্রমাণ। অতএব শাস্ত্রীয় বিধি নিষেধের স্বরুপ জেনে কর্ম করা উচিত যাতে পরমার্থিক উন্নতি লাভ করা যায়।(২৩-২৪)
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী বেদকেই প্রমাণ মানতেন তাই মাংসভোজীদের "রাক্ষস" বলেছেন।যারা প্রাণীর মাংস ভক্ষণ করে তারাতো রাক্ষসই।যেমন নাকে দড়ি বাঁধা উটেরা।
৪র্থ নং আক্ষেপঃমহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী স্ত্রীর সাথে অতিরিক্ত যৌনসঙ্গম করতে নিষেধ করেছেন।
৪র্থ নং আক্ষেপ নিবারণঃ
মূর্খের কাজ মূর্খামি করা এই উম্মত ঠিক সেটাই করল,মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী সেখানে মনুসংহিতার শ্লোক উদ্ধৃত করেছেন।আর সেই মূর্খ বলছে মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী নাকি নিজের কথায় বলছেন।যাদের শুরুটাই হয়েছিলো মূর্খতা দিয়ে তারাতো মূর্খ হবে এটাই স্বাভাবিক।মনুসংহিতার এই শ্লোকটি কোন ভাবেই অসঙ্গত নয়।শ্লোকটি দেখা যাক—
অনুবাদঃকামজনিত ব্যসনের সংখ্যা এই: – মৃগয়া, অঙ্গ অর্থাৎ পাশক্রীড়া, জুয়াখেলা ইত্যাদি দিবসে নিদ্রা, কামথ। অথবা অপরের নিন্দাবাদ, স্ত্রীর অতিসঙ্গ, মাদক দ্রব্য অর্থাৎ ম্য, অহিফেন, সিদ্ধি, গাঞ্জা, চরস ইত্যাদি সেবন; গান, বাঘ্য, নৃত্য করা ও করান, শুনা এবং দেখা ; বৃথা ইতস্ততঃ পৰ্যটন; এই দশবিধ কামোপন্ন ব্যসন।।
অতিরিক্ত যৌনতা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।নবীরা খেজুর আর শসা দিয়ে যৌনতা পরীক্ষা করতো বলেই আজকের সর্ব বিজ্ঞানময় কিতাবধারীরা জানে না অতিরিক্ত যৌন সঙ্গম স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।যারা নারী দেহ পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের এই বিষয়গুলো বুঝার কথাও না।নিম্নের লিংকটি পড়লে বুঝতে পারবেন অতিরিক্ত যৌনসঙ্গম ক্ষতি কি না।
লিংকঃ
https://www.bissoy.com/q/2218
৫ নং আক্ষেপঃমহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী বলছেন ব্যাসদেব এর পুত্র শুকদেব আমেরিকাতে গেছেন,তখনকার সময় কি আমেরিকা বা চীন এই দেশগুলো ছিল?
বিষয়ঃবিদেশ যাত্রায় কি আচার বিনষ্ট হয়?
প্রশ্ন—আর্যাবর্তের বাহিরে বিভিন্ন দেশে গমন করিলে আর্যাবর্তবাসীদিগের আচার নষ্ট হয় কি না ?
উত্তর – ইহা মিথ্যা কথা। কারণ, যে কোন স্থানে অন্তর-বাহির পবিত্র করা ও সত্যভাষণাদি আরচণ করা হউক না কেন, তদ্দ্বারা কাহারও কখনও ধর্ম ভ্রষ্ট হয় না। কিন্তু কেহ যদি আর্যাবর্তে থাকিয়াও দুরাচারী হয় তাহাকে ধর্ম ও আচার ভ্রষ্ট বলা হয়। যদি ভিন্ন দেশে গমন করিলে আচার নষ্ট হইত, তাহা হইলে এইরূপ লিখিত হইত না —
এই শ্লোকগুলি মহাভারতের শান্তিপর্বে মোক্ষধর্ম বিষয়ে ব্যাস-শুক সংবাদে লিখিত আছে। অর্থাৎ এক সময়ে ব্যাসদেব তাঁহার পুত্র শুক এবং শিষ্যের সহিত ‘পাতাল' অর্থাৎ আধুনিক আমেরিকায় বাস করিতেন। শুকাচার্য পিতাকে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিলেন যে, আত্মবিদ্যা কি এই পর্যন্ত অথবা আরও অধিক ? ব্যাসদেব জানিয়াও উত্তর দিলেন না।কারণ, তিনি পূর্বে এ বিষয়ে উপদেশ দিয়াছিলেন। অপরকে সাক্ষী করিবার জন্য তিনি পুত্র শুকদেবকে বলিলেন, 'হে পুত্র।তুমি মিথিলা নগরীতে যাইয়া জনক রাজাকে এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিও। তিনি ইহার সমুচিত উত্তর দিবেন'।পিতার বাক্য শুনিয়া শুকাচার্য পাতাল হইতে মিথিলা ভিমুখে যাত্রা করিলেন। প্রথম মেরু অর্থাৎ হিমালয়ের ঈশান উত্তর ও বায়ব্য কোণে অবস্থিত যে দেশ তাহার নাম ‘হরিবর্ষ'। বানরকে হরি বলে। ঐ দেশের অধিবাসিগণ এখনও বানরের ন্যায় রক্তমুখ ও পিঙ্গল নেত্র। বর্তমান সময়ে যে দেশের নাম 'ইউরোপ', সংস্কৃত ভাষায় তাহার নাম 'হরিবর্ষ'। তিনি সেই দেশ, হুণ 'ইহুদী’ দেশও পরিদর্শন করিয়া চীন দেশে আগমন করিলেন। অনন্তর চীন হইতে হিমালয়ে এবং হিমালয় হইতে মিথিলা পুরীতে আগমন করিলেন।
Point of view:পাঠকেরা উপরের লেখাতে কি মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী সরাসরি বলছেন যে তখন ব্যাসদেবের পুত্র শুকদেব আমেরিকাতে ছিল?তিনি বলছেন মহাভারতের শ্লোকে যে নামগুলো আছে সেই নামগুলোর বর্তমান অবস্থান।
আর্যঃমুমিন ভাই আপনার মাথায় কেন এই প্রশ্ন আসলো যে,"শুকদেবের সময় আমেরিকা ছিল কি না"?
মুমিনঃভাই ঐখানে আমেরিকা উল্লেখ আছে,চীনের উল্লেখ আছে তাই।
আর্যঃসম্পূর্ণ লেখাটা পড়েছেন কি?
মুমিনঃনা,নাম উল্লেখ পেয়েছি তাতেই হবে।
আর্যঃলেখাতে মহর্ষিজী মহাভারতের শান্তিপর্ব(৩২৫/৪০) শ্লোকে উক্ত নাম,যেমনঃপাতাল,মিথিলা,হরিবর্ষ ইত্যাদি এর বর্তমান স্থানসমূহের উল্লেখ করেছেন।তাই আপনার প্রশ্নটাতো মূর্খামীর পর্যায়ে চলে যায়।
মূর্খ কোনদিন সঠিক পথের সন্ধান পাই না,কারণ মূর্খতা দিয়ে সত্য যাচাই করা অধিক কঠিন।
৬নং আক্ষেপঃমহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী ম্লেচ্ছ কূলে উৎপন্ন নারীদের অর্থাৎ যারা সনাতনী নয় তাদেরকে বেশ্যা বলেছেন।
৬নং আক্ষেপ নিবারণঃ
মুমিন ভাইদের মনে কেবল নারীদের বিষয়ে খারাপ ভাবই উৎপন্ন হয়।যেমনঃতারা বেশ্যা,দাসী এই প্রকার শব্দগুলোর সাথে বেশী পরিচিত তাই তারা তাদের মত করেই এই শব্দগুলোকে গ্রহণ করে।
ঋগ্বেদ(৭/১৮/১৭) নং মন্ত্রের ভাষ্যে মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী "বেশ্যা" পদের অর্থ করেছেন "প্রথম হতে" বা "শুরু থেকে"! নিম্নে ছবি দেওয়া হল—
তাহলে সত্যার্থ প্রকাশে উল্লেখিত বাক্যটির অর্থ এমনও হতে পারে," ভ্রষ্টাচারী ম্লেচ্ছকুলোৎপন্না যারা শুরু থেকে বা প্রথম থেকে সমাগমে যুক্ত হয়েও আচার বা ধর্ম ভ্রষ্ট হয় না।
৭নং আক্ষেপ নিবারণঃ
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী আপস্তম্ব ধর্মসূত্রের একটি রেফারেন্স দিয়েছেন মাত্র!আপস্তম্ব ধর্মসূত্র(২/২/৩/৪) এ বলা হয়েছে,"অথবা শুদ্রও আর্যজনের দেখাতে এই অন্ন তৈরী করতে পারবে"।
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী এখানে নিয়মের কথা বলেছেন তাতে সমস্যাটা কি সেটাই বুঝতে পারছি না।যার যেটা নিয়ম সেটাই এখানে তুলে ধরা হল।তাই এখানে আক্ষেপ করার চেয়ে বিষয়টাকে ভালোভাবে ধনাত্মক পর্যায়ে চিন্তা করায় শ্রেয়।যেমন ইসলামে নারীদের মসজিদে গিয়ে পুরুষদের সাথে নামাজ পড়ার কোন নিয়ম নাই,তাহলে এখানে কি বলা যাবে যে নারীদের অসম্মান বা ছোট করে দেখা হয়েছে!
বি.দ্রঃ২য় পর্ব পড়তে এই ব্লগে চোখ রাখুন।
ও৩ম্ কৃণ্বন্তো বিশ্বমার্যম্