উচ্চকোটির বৈদিক বিদ্বান্, প্রগল্ভ লেখক তথা ভাবুক কবি প. চমূপতি ১৮৯৩ সনের ১৫ই ফেব্রুয়ারি বহাবলপুরে (পাকিস্তান) জন্মগ্রহণ করেন। পণ্ডিতজীর পিতার নাম মেহতা বসন্দারাম তথা মাতার নাম লক্ষ্মী দেবী। তিনার বাল্যনাম চম্পতরায়। মেট্রিক পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়ে তিনি বহাবলপুরের ইজর্টন কলেজে প্রবিষ্ট হন। সেখানে অধ্যয়কালেই তিনি কবিতা লিখা আরম্ভ করেন। সর্বপ্রথম শিখ ধর্মের গ্রন্থ 'জপজী' এর কাব্যানুবাদ করেন। এম. এ. পরীক্ষা উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি বহাবলপুরে অধ্যাপক রূপে বিরাজমান হন।
মেহতা চম্পতরায় প্রথমে শিখ ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন পরন্তু নাস্তিকতার বিচার এই আকৃষ্টতা রুদ্ধ করে দেয়। এর মধ্যেই স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী প্রণীত গ্রন্থ অধ্যয়ন করার সুযোগ প্রাপ্ত হন। তারমধ্যে নাস্তিক মনোভাব দূরীভূত হয় কিন্তু শাঙ্কর বেদান্ত মতের প্রতি আকৃষ্ট হন। ধীরে ধীরে বেদান্তের প্রতি আস্থা শিথিল হতে থাকে পরন্তু মূর্তিপূজার প্রতি উৎসাহ বৃদ্ধি হতে থাকে। অন্ততঃ চম্পতরায়জীর ধার্মিক বিচারের চরম পরিণতি আর্যসমাজ দ্বারা প্রতিপাদিত বৈদিক ধর্মের বিচারধারা স্বীকার করার মাধ্যমে হয়। তৎপশ্চাৎ তিনি চম্পতরায় হইতে চমূপতি নাম ধারণ করেন। তারপর তিনি রাজ্যসেবা ত্যাগ করে গুরুকুল মুলতান চলে যান। দুই বর্ষ পর্যন্ত এই গুরুকুলের অধিষ্ঠাতা পদে কার্য করেন। আচার্য রামদেব জীর প্রেরণায় প. চমূপতি লাহৌর চলে যান সেখানে আর্য প্রতিনিধি সভা পাঞ্জাবের কার্য করতে থাকেন। সভার আজীবন সেবা করার ব্রতধারীগণ 'দয়ানন্দ সেবা সদন' এর স্থাপনা করেছিলেন, সেই সদনের সদস্য হয়ে যান পণ্ডিতজী। তিনি বিধিপূর্বক আর্য প্রতিনিধির সেবা করার প্রতিক্ষা করে দীক্ষা নেন। ১৯২৭ সনে তিনি গুরুকুল কাংগড়ীতে আচার্য পদে নিযুক্ত হন, ১৯৩৩ সনে গুরুকুলের মুখ্য অধিষ্ঠাতা হন পরন্তু ২বর্ষ পশ্চাৎ এই পদ ত্যাগ করে পৃথক হয়ে যান। ১৯৩৭ সনের ১৫ই জুন পণ্ডিতজীর দেহান্ত হয়।
পণ্ডিত চমূপতি অসাধারণ বিদ্বান্ তথা লেখনীর ধনী ছিলেন। হিন্দী উর্দু তথা ইংরেজিতে সমানরূপে পারদর্শী ছিলেন।
লে. কা.–
১. জীবন জ্যোতি (সামবেদের আগ্নেয় পর্বের ভাবপ্রধান ব্যাখ্যা)।
২.সোম সরোবর (সামবেদের পবমান পর্বের ব্যাখ্যা)।
৩.য়াস্ক যুগ কী বেদার্থ শৈলিয়াঁ।
৪.বেদার্ষ কোষ।
৫.সন্ধ্যা রহস্য।
৬.দেবযজ্ঞ রহস্য।
৭. দেবযজ্ঞ পর আধ্যাত্মিক দৃষ্টি।
৮.বৈদিক দর্শন।
৯.বৈদিক সিদ্ধান্ত।
১০.বৈদিক জীবন দর্শন।
১. জীবন জ্যোতি (সামবেদের আগ্নেয় পর্বের ভাবপ্রধান ব্যাখ্যা)।
২.সোম সরোবর (সামবেদের পবমান পর্বের ব্যাখ্যা)।
৩.য়াস্ক যুগ কী বেদার্থ শৈলিয়াঁ।
৪.বেদার্ষ কোষ।
৫.সন্ধ্যা রহস্য।
৬.দেবযজ্ঞ রহস্য।
৭. দেবযজ্ঞ পর আধ্যাত্মিক দৃষ্টি।
৮.বৈদিক দর্শন।
৯.বৈদিক সিদ্ধান্ত।
১০.বৈদিক জীবন দর্শন।
১১.বৈদিক তত্ত্বদর্শন।
১২. নীহারিকাবাদ ঔর উপনিষদ্।
১৩.যোগেশ্বর কৃষ্ণ।
১৪.হমারে স্বামী।
১৫.আর্ষ দর্শন।
১৬.ঋষি দর্শন।
১৭.ঋষিকা চমৎকার।
১৮.আর্য প্রতিনিধি সভা পাঞ্জাব কা ইতিহাস।
১৯.বৃক্ষোং কা আত্মা।
২০.রঙ্গীলা রসূল।
উর্দু সাহিত্য–
উর্দু সাহিত্য–
১.দয়ানন্দ আনন্দ সাগর (কাব্য)।
২.ভারত কী ভেন্ট (কবিতা)।
৩.হিন্দুস্তান কী কহানী।
৪.মরসিয়া এ গোখলে (কবিতা)।
৫.সমাজ ঔর হাম।
৬.চৌদহবীং কা চাঁদ (হক প্রকাশ লে.মৌ. সনাউল্লার খণ্ডন)। ৭.পরমাত্মা কা স্বরূপ।
৮.বৈরাগ্য শতক কা পদ্যানুবাদ (অপ্রকাশিত)।
৯.সত্যার্থ প্রকাশের উর্দু অনুবাদ।
১০.গঙ্গা তরঙ্গ (কবিতা)।............।
ইংরেজি গ্রন্থ–
ইংরেজি গ্রন্থ–
১.The Ten Commandments of Dayanand.
২.Glimpses of Dayanand.
৩.Mahatma Gandhi and the Aryasamaj.
৪.যজুর্বেদের প্রথম দুই অধ্যায়ের ইংরেজি অনুবাদ।