![]() |
বর্ণ পরিবর্তনের উদাহরণ |
১.
ক্ষত্রিয়েভ্যশ্চ য়ে জাতা ব্রাহ্মণাস্তে চ তে শ্রুতাঃ।
বিশ্বামিত্রপ্রভৃতয়ঃ প্রাপ্তা ব্রহ্মত্বমব্যয়ম্।।
মহাভারত আদিপর্ব (১৩৬/১৪)
অনুবাদঃ অসংখ্য ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়কুল হতে উৎপন্ন হয়েছিল, তুমি তাদের নাম শুনে থাকবে হয়তো তথা বিশ্বামিত্র প্রভৃতি ক্ষত্রিয়ও অক্ষয় ব্রাহ্মণত্বকে প্রাপ্ত হয়েছিলেন।।
অথবা ক্ষত্রিয়বংশজ বহু মহাত্মা ব্রাহ্মণ হইয়া অব্যয় ব্রহ্মত্ব লাভ করিয়াছেন।।
- গীতাপ্রেস গোরক্ষকপুর
২.
নহুষো জনয়ামাস ষট্ সুতান প্রিয়বাদিনঃ।
যতিস্তু যোগমাস্থায় ব্রহ্মভূতোহ ভবন্মুনিঃ।।
মহাভারত আদিপর্ব (৭৫/৩১)
অনুবাদঃ রাজা নহুষ প্রিয়বাদী ছয় পুত্রের জন্ম দেন, যাদের নাম এই প্রকার - যতি, যযাতি, সংযাতি, আযাতি, অযাতি এবং ধ্রুব। এদের মধ্যে যতি যোগের আশ্রয় নিয়ে ব্রহ্মভূত মুনি হয়ে গিয়েছিলেন।।
৩.
গর্গাচ্ছিনিস্ততো গার্গ্যঃ ক্ষত্রাদ্ ব্রহ্ম হ্যবর্তত।
দুরিতক্ষয়ো মহাবীর্যাৎ তস্য এয্যারুণিঃ কবিঃ।।১৯।।
পুষ্করারুণিরিত্যত্র যে ব্রাহ্মগতিং গতাঃ।
বৃহৎক্ষত্রস্য পুত্রোহ ভূদ্ধস্তী যদ্ধস্তিনাপুরম্।।২০।।
ভাগবত পুরাণ (৯/২১/১৯-২০)
অনুবাদঃ মনুপুত্র গর্গ থেকে শিনি, শিনির থেকে গার্গ্য জন্মগ্রহণ করেন। গার্গ্য যদিও ক্ষত্রিয় ছিলেন তবুও তার থেকে ব্রাহ্মণকুল উৎপন্ন হয়েছে। মহাবীর্যের পুত্র হয় দ্যুরিতক্ষয়। তার তিন পুত্র - ত্রয্যারুণি, কবি ও পুষ্করারুণি। তারা ক্ষত্রিয়কুলে জন্মেও ব্রাহ্মণত্ব লাভ করেছিলেন। বৃহৎক্ষত্রের পুত্র হস্তী, যিনি হস্তিনাপুর নগরীর পত্তন করেন।।১৯-২০।।
৪.ভাগবত পুরাণ (৫/৪/১৩)
ভগবান ঋষভদেবের স্ত্রী জয়ন্তীদেবী তাদের একশত পুত্র ছিল। তন্মধ্যে জ্যেষ্ঠপুত্র ভরত হইলেন ভারতবর্ষের অধিপতি আর কনিষ্ঠ ৮১ জন পুত্র মহাশালীন মহাশ্রোত্রিয় যজ্ঞশীল কর্মবিশুদ্ধ ব্রাহ্মণ হইলেন।।
যবীয়াংস একাশীতির্জায়ন্তেয়া পিতুরাদেশকরা মহাশালীনা মহাশ্রোত্রিয়া যজ্ঞশীলাঃ কর্মবিশুদ্ধা ব্রাহ্মণা বভূবুঃ।।১৩।।
অনুবাদঃ এদের থেকে ছোট জয়ন্তীর একাশিটি পুত্র পিতার আজ্ঞাপালনকারী, অতি বিনীত, বেদনিপুন ও যজ্ঞশীল ছিলেন। তারা পুণ্যকর্মানুষ্ঠান হেতু ব্রাহ্মণত্ব লাভ করেছিলেন।।১৩।।
৫.
শ্রুয়ন্তে হি তপঃসিদ্ধাঃ ক্ষাত্রোপেতা দ্বিজাতয়ঃ
বিশ্বামিত্রো নরপতির্ম্মান্ধাতা সঙ্কৃতিঃ কপিঃ।।
কপেশ্চ পুরুকুৎসশ্চ সত্যশ্চানৃহবানৃথুঃ।
আর্স্টিষেণোহজমীঢ়শ্চ ভাগান্যোঽন্যস্তথৈব চ
কক্ষীবশ্চৈব শিজয়স্তথান্যে চ মহারথাঃ।
রথীতরশ্চ রুন্দশ্চ বিষ্ণুবৃদ্ধাদয়ো নৃপাঃ।।১১৭।।
ক্ষাত্রোপেতাঃ স্মৃতা হ্যেতে তপসা ঋষিতাংগতাঃ
এতে রাজর্ষয়ঃ সর্ব্বে সিদ্ধিং সুমহতীং গতাঃ
অত ঊর্ধ্বং প্রবক্ষ্যামি অয়োর্বংশং মহাত্মনঃ।।১১৮।।
বায়ুপুরাণ (৯১/৯৬-১১৮)
অনুবাদঃ এমনটি শোনা যায় যে, ক্ষত্রিয়দের গুণ এবং কর্মের স্বভাববিশিষ্ট অনেক দ্বিজাতিগণ তপস্যা দ্বারা সিদ্ধি লাভ করেছিলেন। নরপতি বিশ্বামিত্র, মান্ধাতা, সঙ্কৃতি, কপি, পুরুকুৎস, সত্য, আনৃহবান, ঋথু, আর্ষ্টিষেণ, অজমীঢ়, ভাগান্য, কক্ষীব, শিজয়, রথীতর, রুন্দ, বিষ্ণবৃদ্ধ প্রভৃতি ক্ষত্রিয় রাজাগণ বা ক্ষত্রপতিগণ তপস্যাবলে ঋষিত্ব প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। এই সকল রাজর্ষি সুমহতী সিদ্ধিলাভ করিয়াছিলেন। অতঃপর মহাত্মা আয়ুর বংশবিবরণ বলিতেছি।। ৯৬-১১৮।।
৬.
ক্ষত্রবৃদ্ধাত্মজস্তত্র সুনহোত্রো মহাযশাঃ।
সুনহোত্রস্য দায়াদাস্ত্রয়ঃ পরার্মিকাঃ।।
কাশঃ শলশ্চ দ্বাবতৌ তথা গৃৎসমদঃ প্রভুঃ।
পুত্রো গৃৎসমদস্যাপি শুনকো যস্য শৌনকাঃ।।
ব্রাহ্মণাঃ ক্ষত্রিয়াশ্চৈব বৈশ্যাঃ শুদ্রাস্তথৈব চ।
শলাত্মজশ্চাষ্টিষেণস্তনয়স্তস্য কাশকঃ।।৬-৮।।
হরিবংশ পুরাণ (৩১/৬-৮)
অনুবাদঃ ক্ষত্রবৃদ্ধের পুত্র হয় মহাযশস্বী সুনহোত্র। সুনহোত্রের পরম ধার্মিক তিনপুত্র - কাশ, শাল এবং প্রভাবশালী গৃৎসমদ্। গৃৎসমদের পুত্র হয় শৌনক, যার থেকে শৌনক বংশের বিস্তার হয়। শৌনক বংশ হতে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শুদ্র সকল বর্ণের লোকই উৎপন্ন হয়।।৬-৮।।
৭. হরিবংশপুরাণ (৩২/৫)-
" পুত্রঃ প্রতিরথস্যাসীৎ কণ্বঃ সমভবন্নৃপঃ।
মেধাতিথি সুতস্তস্য যস্মাৎ কাণ্বায়না দ্বিজাঃ ॥৫॥
অনুবাদঃ মতিনারের অপর পুত্র প্রতিরথের ছেলের নাম ছিল কণ্ব। কণ্ব রাজা ছিল। কণ্বের মেধাতিথি নামে পুত্র ছিল। যার থেকে কাণ্বায়ন ব্রাহ্মণদের পরম্পরা প্রচলিত হয়।।৫।।
৮.হরিবংশ পুরান (৩২/১৯-২০) -
সুহোত্রং চ সুহোতারং গর্যং গর্গং তথৈব চ।
কপিলং চ মহাত্মানং সুহোত্রস্য সুতদ্বয়ম্॥১৯৷৷
"কাশিকশ্চ মহাসত্বস্তথা গৃৎসমতির্নৃপঃ।
তথা গৃৎসমতেঃ পুত্রা ব্রাহ্মণাঃ ক্ষত্রিয়া বিশঃ॥২০॥
অনুবাদঃ সুহোত্রের দুইজন পুত্র হয় মহান শক্তিশালী কাশিক তথা রাজা গৃৎসমতি। গৃৎসমতির ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্য তিন বর্ণের পুত্র হয়।॥১৯-২০।।
একই ঘটনা ব্রহ্মপুরাণেও বর্ণিত হয়েছে ব্রহ্মপুরাণ (১৩/৬৪)
- গৃৎসমতেঃ পুত্রা ব্রাহ্মণাঃ ক্ষত্রিয়া বিশঃ।।
অনুবাদঃ গৃৎসমতের পুত্র ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় তথা বৈশ্য হয়েছিল।
৯.❇️ব্রহ্মপুরাণ (১৩.৭৮-৭৯)-
" সুতোহ ভবন্মহাতেজা রাজা পরমধার্মিকঃ।
বৎসস্য বৎসভূমিস্তু ভার্গবাৎ।।৭৮।।
এতে ত্বঙ্গিরসঃ পুত্রা জাতা বংশেহথ ভার্গবে।
ব্রাহ্মণাঃ ক্ষত্রিয়া বৈশ্যাঃ শুদ্রাশ্চ মুনিসত্তমাঃ"।।৭৯।।
অনুবাদঃ বৎসভূমির পুত্র ছিল বংস। ভার্গবের পুত্র ছিল ভর্গভূমি। হে মুনিপ্রবরগণ! ভার্গব বংশোৎপন্ন এই সকল অঙ্গীরাপুত্র ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র হয়ে যায়।।
১০.❇️ব্রহ্মপুরাণ (৭.২৬)-
নাভাগধৃষ্ট পুত্রাশ্চ ক্ষত্রিয়া বৈশ্যতাং গতাঃ।।২৬.৫।।
অনুবাদঃ নাভাগ এবং ধৃষ্টের ক্ষত্রিয় সন্তানেরা বৈশ্য হয়ে গিয়েছে।।
Tags:
বর্ণাশ্রম