➡️ ঈশ্বর কে..??? ➡️
ঈশ্বর পুরুষ নাকি নারী..??? ➡️ ঈশ্বর কি অর্ধনারীশ্বর..???
➡️ ঈশ্বর কে..???
➡️ ঈশ্বর পুরুষ নাকি নারী..???
➡️ ঈশ্বর কি অর্ধনারীশ্বর..???
উত্তরঃ কোনটাই নয়। 👇👇
ঈশ্বরের সবচেয়ে উত্তম সংজ্ঞা হিসেবে দেওয়া যায় যজুর্বেদ থেকে, যেখানে ঈশ্বরের মোট বারটি বৈশিষ্ট্যৈর মধ্যে একটি বলা আছে যে...
स पर्य॑गाच्छु॒क्रम॑का॒यम॑व्र॒णम॑स्नावि॒रꣳ शु॒द्धमपा॑पविद्धम्।
क॒विर्म॑नी॒षी प॑रि॒भूः स्व॑य॒म्भूर्या॑थातथ्य॒तोऽर्था॒न् व्य᳖दधाच्छाश्व॒तीभ्यः॒ समा॑भ्यः॥
স পর্য॑গাচ্ছু॒ক্রম॑কা॒য়ম॑ব্র॒ণম॑স্নাবি॒রꣳ শু॒দ্ধমপা॑পবিদ্ধম্।
ক॒বির্ম॑নী॒ষী প॑রি॒ভূঃ স্ব॑য়॒ম্ভূর্যা॑থাতথ্য॒তোঽর্থা॒ন্ ব্য᳖দধাচ্ছাশ্ব॒তীভ্যঃ॒ সমা॑ভ্যঃ ॥
তিনি "অকায়েম্"
(যজুর্বেদঃ- ৪০/৮)
মানে তিনি শরীররহিত বা নিরাকার।
আর, যেই পরমাত্মার কোন শরীরই নেই তিনি নারী-পুরুষ কোনটাই হওয়ার কোন প্রশ্ন আসে না।
উপরন্তু মহাভারতে স্পষ্টতই এই বিষয়ে বলা আছে যে----
" ন চ স্ত্রী ন পুমাংশ্চৈব তথৈব ন নপুংসকঃ।
কেবলজ্ঞানমাত্রং তত্তস্মিন্ সর্ব্বং প্রতিষ্ঠিতম্।। "
[মহাভারত - শান্তিপর্ব: ২১৮/৯০]
অনুবাদঃ- ঈশ্বর স্ত্রীও না, পুরুষও না এবং নপুংসকও না। তিনি কেবল জ্ঞানমাত্র অথচ এই সমগ্র জগতই তার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত।
➡️আত্মা স্ত্রী নাকি পুরুষ?
উত্তরঃ— আত্মা স্ত্রী কিংবা পুরুষও নয় আবার নপুংসকও নয়। কর্ম অনুসারে যে দেহ প্রাপ্ত হয় সেই দেহ দ্বারাই লিঙ্গ পরিচিত হয়।
📚শ্বেতাশ্বতরোপনিষদ-
नैव स्त्री न पुमानेष न चैवायं नपुंसकः ।
यद्यच्छररीमादक्ते तेने तेने स रक्ष्यते ।। 5/10
নৈব স্ত্রী ন পুমানেষ ন চৈবায়ং নপুংসকঃ ।
যদ্ যচ্ছরীরমাদক্তে তেন তেন স রক্ষ্যতে।। ৫/১০
পদার্থঃ- (এষঃ) এই জীবাত্মা (ন) না (এব) তো (স্ত্রী) স্ত্রী (ন) না (পুমান্) পুরুষ (চ) আর (ন) না (এব) তো (অয়ম্) এই আত্মা (নপুংসকঃ) নপুংসক (যৎ যৎ) যে যে (শরীরম্) শরীর কে (আদক্তে) গ্রহণ করে (তেন তেন) সেই সেই শরীর দ্বারা (সঃ) সে (রক্ষ্যতে) রক্ষিত হয় অর্থাৎ সেই শরীরে যুক্ত হয়ে যায়।
অনুবাদঃ- জীবাত্মা না তো স্ত্রী, না পুরুষ, না ইনি নপুংসক, তিনি যে শরীর গ্রহন করেন সেই সেই শরীর দ্বারা সমন্ধযুক্ত হন।
এছাড়াও বৈদিক-গ্রন্থ উপনিষদের বিভিন্ন জায়গায় ঈশ্বর সম্পর্কে বলা হয়েছে যে--
১. ঈশোপনিষদ—৮ (ঈশ্বর অকায়ম্ বা শরীররহিত)
২. কেনোপনিষদ—১/৩ (ঈশ্বরকে চোখে দেখা যায় না)
৩. কঠোপনিষদ—১/২/২২ (ঈশ্বর অশরীরী)
৪. কঠোপনিষদ—১/৩/১৫ (ঈশ্বর অরূপ বা রূপহীন)
৫. কঠোপনিষদ—২/৩/৮ (ঈশ্বর অলিঙ্গ বা লিঙ্গহীন বা চিহ্নহীন)
৬. কঠোপনিষদ—২/৩/৯ (ঈশ্বরকে চক্ষু দিয়ে দেখা যায় না)
৭. কঠোপনিষদ—২/৩/১২ (ঈশ্বর বাক্য-মন-চক্ষুর অগোচর)
৮. প্রশ্নোপনিষদ—৪/১০ (ঈশ্বর অশরীরী)
৯. মুণ্ডকোপনিষদ—১/১/৮ (অপাণিপাদম্ অচক্ষুশোত্রম অর্থাৎ ঈশ্বরের হাত, পা, চক্ষু, কর্ণ নেই)
১০. শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ—২/১৫ (ঈশ্বর জন্মরহিত)
১১. শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ—৩/১০ (ঈশ্বর অরূপ বা রূপহীন)
১২. শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ–৪/২১ (ঈশ্বর জন্মরহিত)
১৩. শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ—৫/১৪ (ঈশ্বর অশরীরী)
১৪. শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ—৬/৮ (ঈশ্বরের শরীর এবং ইন্দ্রিয় নেই)
১৫. শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ—৬/৮ (ঈশ্বরের লিঙ্গ বা চিহ্ন নাই এবং তাঁর কোন জনক বা পিতা নেই)
এখান থেকে বুঝতে পারা যাচ্ছে- ঈশ্বরের জন্ম-মৃত্যু নেই, শরীর নেই, লিঙ্গ নেই, পিতামাতা নেই, রুপ-চিহ্ন নেই, তিনি ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয় এবং তারও ইন্দ্রিয় নেই।
সুতরাং ঈশ্বর পুরুষও না, নারীও না, নপুংসকও নয় এবং অর্ধ নারীও না, অর্ধ পুরুষও না। তিনি ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয়, তিনি সর্বব্যাপী, তাই তার লিঙ্গ নির্ধারণ সম্ভব নয়।
ঈশ্বর শাশ্বত, সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বশক্তিমান।
ও৩ম্ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ
সত্যমেব জয়তেঃ
আর্য প্রতিনিধি সভা বাংলাদেশ।